এডিস মশা চেনার উপায় ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিরোধ, প্রতিকার

বর্তমানে আমাদের দেশে মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুজ্বর। এডিস মশার আক্রণে এই জ্বরের প্রাদুর্ভাব। লোকমুখে জনশ্রুত ডেঙ্গু মশা। ডেঙ্গু মশার কামড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র কালাজ্বর হচ্ছে।

আসলে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহনকারী মশার নাম হচ্ছে এডিস মশা (ডেঙ্গু নয়)।
চেনার উপায় :

এই মশা সাধারণত আকারে একটু বড়ই হয়ে থাকে। গায়ের রং কালো এবং গায়ে সাদা ডোরা কাটা দাগ থাকে। এরূপ দাগ পায়েও থাকে। এই মশাগুলো সাধারণত ভোরবেলা ও সন্ধ্যাবেলা আক্রমণ করে। এরা নোংরা জায়গায় বংশবিস্তার করে না। বরং এর বিপরীত স্বচ্ছ  ও হালকা স্যাতসেতে জায়গায় এরা বংশবিস্তার করে। দরজা-জানালায় অনেকদিনের টানানো থাকা পর্দার ভাজেও এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই মশা সাধারণত বেশি উপরে উড়তে পারে না।


ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত জ্বর, যার বাহক এডিস মশা। এডিস মশা বাসাবাড়ির ভিতরে এবং বাহিরের যত্রতত্র পড়ে থাকা বিভিন্ন পাত্র ও অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে ডিম পাড়ে। এডিস মশা নিধনে দেশবাসী সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিচের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখুন।


  • বেইজমেন্টের পানির ট্যাংক, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, ওয়াশার পানির মিটার, অব্যবহৃত বালতি, ড্রাম, পানি রাখার মটকা, ফুলের টব ইত্যাদি স্থানে একনাগাড়ে ৩ দিনের বেশী পানি জমতে দিবেন না।
  • বাড়ির ছাদে, উঠানে এবং দু্ই দালানের মাঝে স্যাঁতসেতে করে রাখবেন না কিংবা পানি জমতে দিবেন না।
  • বাড়ির আশেপাশের ঝোঁপঝাড় এবং আঙিনা পরিস্কার রাখুন।
  • ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করুন। মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবারে সবাইকে রক্ষা করুন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মুক্ত থাকুন।